ব্লগারে আর্টিকেল
ব্লগিং হলো একটি দুর্দান্ত প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ফ্রী তে নিজের একটি দুর্দান্ত ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারেন খুবই সহজ উপায়ে। এখন যারা ব্লগিং করে থাকেন তারা এটা খুবই জিজ্ঞেস করে থাকে যে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার মানে আপনার ওই আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল। অর্থাৎ এই আর্টিকেলটি আপনার সার্চ ইঞ্জিন এই জিনিসটাকে সবার ফার্স্টে দেখাবে। আর মানুষের সাইকোলজি অনুযায়ী যে কোন মানুষ ফাস্টে রেজাল্ট টি তে ক্লিক করে নিজের প্রশ্নের উত্তর পেতে চান। তাই নিজেদের পোস্ট এসইও ফ্রেন্ডলি হওয়া খুবই জরুরী। এবার আমাদের কাছে যেটা সব থেকে বড় প্রশ্ন আছে সেটা হল কিভাবে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা যায়। এসব ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়। যেই বিষয়ের উপর আপনি নিজের আর্টিকেলটি লিখতে চান সেই বিষয়টি ফাস্টে গুগলে গিয়ে সার্চ করুন এবং সার্চ রেজাল্ট দেখুন এবং সেই অনুযায়ী কিওয়ার্ডগুলো রিসার্চ করে বের করুন। কিওয়ার্ড গুলো বের করার পরে ওগুলোকে নিজেদের পোস্টে ব্যবহার করুন যার ফলে আপনার আর্টিকেলটি গুগোল এর রেংক করবে। শুধু আর্টিকেল এর ওপর আপনার পোস্টটি seo ফ্রেন্ডলি মানা হবে এটা সঠিক নয়। আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড কতটা অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড এর উপরে ডিপেন্ড করে যে আপনার ওয়েবসাইট এ ফ্রেন্ডলি নাকি না। আরো কয়েকটি জিনিস রয়েছে যার ফলে আপনার পোস্টটি রেঙ্ক করতে পারেনা।
কী কারণে পোস্ট রেঙ্ক করেনা
আপনার পোষ্টটি রেঙ্ক না করার অনেক কারণ হতে পারে। কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হল।
- আর্টিকেল এর কোয়ালিটি।
- কিওয়ার্ড রিসার্চ।
- ব্লগার থিম/ ব্লগার টেমপ্লেট।
- ব্লগার টেম্পলেট হলো সেটি যেটি আপনি থিম হিসেবে আপনার ব্লগারে ব্যবহার করেন, অনেকদিন খুব হালকা হয় এবং তাড়াতাড়ি লোডিং নেয় কিন্তু অনেক ভারী থিম হয়ে যেগুলি কি আপনাকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
- পেজ এর স্পিড কত অর্থাৎ লোডিং স্পীড কত।
- ইমেজ seo করা।
- এসইও ফ্রেন্ডলি শব্দগুলো ব্যবহার করা।
- একটি লম্বা পোস্ট লেখা।
- এখানে লম্বা পোস্টগুলোতে 500 থেকে হাজার ওয়াডের মধ্যে নিজের পোস্টটি লিখুন।
- নিজের ওয়েবসাইটটির সোশ্যাল মার্কিং করুন।
- নিজের ওয়েবসাইটটিকে গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করুন।
- নিজের ওয়েবসাইট থেকে অন্যান্য সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করুন।
কয়েকটি মেথড
আপনি যখন নিজের ব্লগার পোষ্টটি লিখতে যান তখন গুগোল ওই টপিকটা নিয়ে সার্চ করুন এবং নিচের দিকে দেখবেন কয়েকটি কিবারে রয়েছে যেগুলো খুব কম ব্যবহার হয়। অর্থাৎ ওইসব টপিকে খুব কম পোস্ট গুগোল ইন্ডেক্স আছে। তাহলে আপনি ওখান থেকে ইউনিক কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে পেতে পারেন এবং সেগুলি কি নিজের পোস্টে ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই।এটি একটি খুব আলাদা প্রসেস যার দ্বারা আমি নিজের ব্লগার সাইট থেকে রেঙ্ক করাতে পারেন গুগলে। আর কয়েকটি মেজর পয়েন্ট রয়েছে যেগুলো কি আপনাকে ফলো করতে হবে যদি আপনি চান আপনার পোষ্টেটি রেঙ্ক করুক। আপনার পোষ্টটি যেন 500 থেকে হাজার শব্দের হয়, আপনি পোস্টে যেন বেশি ফটো ব্যবহার করবেন না। আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড যেন বেশি হয় অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট যেন তাড়াতাড়ি খুলে যায়। এটা চেক করতে আপনি গুগল এ সার্চ করতে পারেন গুগোল পেজস্পীড ইনসাইট, এটি সার্চ করার পরে আপনার কাছে গুগলের একটি ওয়েবসাইট খুলে আসবে যেখানে আপনি নিজের ওয়েবসাইটে ইউ আর এল দিয়ে টেস্ট করতে পারেন যে আপনার ওয়েবসাইট কতটা স্পিড। আপনার ওয়েবসাইট যদি 60 থেকে 70 এর মধ্যে মোবাইলে খুলে যায় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো মানাহবে। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটে মোবাইলে শূন্য থেকে 50 এর মধ্যে আছে তাহলে এটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আপনি আরেকটি প্রসেস এর দ্বারা বুঝতে পারেন যে আপনার ওয়েবসাইট এ কোন এরর আছে নাকি। আপনাকে গুগল সার্চ ক্যানসলে চলে গিয়ে নিজের ওয়েবসাইট সাবমিট করতে হবে। করার পরে আপনাকে কভারেজ এরিয়া তে গিয়ে দেখতে হবে এরর রয়েছে নাকি। যদি আপনাকে গুগল সার্চ কনসোলে নিজের সাইট সাবমিট করার দু-তিন দিন পর এটি করতে হবে ততদিন ধরে গুগল সার্চ করুন আপনার ওয়েবসাইট থেকে রিভিউ করবে এবং তার ডাটা গুলো কালেক্ট কোরবে। যদি এখন 2020 তে গুগোল সের্চ কনসলে খুনি গন্ডগোল চলছে যার জন্য আপনাকে একটু মাথা লাগে নিজের পোস্টগুলোকে গুগোল ইনডেক্সিং করাতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
We need your suggestion but do not post any spam links on comment.