ব্লগ পোস্টের কনটেন্ট
প্রথমত ব্লগার এ গুগল এডসেন্স নিতে চাইলে আপনাকে হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে। হাই কোয়ালিটির কনটেন্টের আবার অনেক বিবরণ রয়েছে। ব্লগারে যেকোন পোষ্ট লেখার আগে তার ওপর ভালো করে রিচার্জ করার পর সেটি লিখবেন। ব্লগারে যেকোনো পোস্ট নিজের মত লিখবেন এবং নিজের এক্সপেরিয়েন্স এর ওপর লিখবেন। কারোর কপি করা পোস্ট নিজের ব্লগারের পেস্ট করে পোস্ট করা উচিত নয়। যে কোন পোস্টে নেক্সট জেনারেশন ফটো লাগাবেন না। যেকোন পোষ্ট যেন 500 থেকে হাজার শব্দের হয়। অন্তত 25 থেকে 30 টা পোস্ট লিখতে হবে এবং সেই পোস্টগুলি যেন কোয়ালিটি পোস্ট হয়। বেশিরভাগ মানুষ কি করে যে অন্য ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করে সেগুলিকে স্পিন করে পোস্ট করে। এগুলি করলে গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল কোনদিনও পাবেন না। ব্লগারের শর্তাদি অনুযায়ী আপনাকে নিজেকে একটি কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে। কন্টেন্টগুলি ভালোভাবে এসিও করতে হবে। এসইওর অর্থ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার লেখা পোস্ট গুলি যেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ গুগল সার্চ ফ্রেন্ডলি হয়। গুগোল বলে যে আপনার পোষ্ট গুলি যেন হালকা হয় এবং কোয়ালিটি কনটেন্ট হয় তাহলে গুগল আপনাকে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল সহজে দিয়ে দেবে। আপনি যদি কাস্টম ডোমেইন নিয়ে থাকবেন আর এই কথাগুলি ফলো করেন তাহলে গ্যারান্টি সহকারে আপনার অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি blogspot.com সাবডোমেইন এ কাজ করতে চান তাহলে এই কথাগুলি ভালোভাবে ফলো করে প্রতিদিন একটি কোয়ালিটি কন্টেন লিখে আপনি সহজেই গুগল এডসেন্সের আফ্রিকার নিয়ে যেতে পারেন।
এপ্লাই করার প্রসেস
আপনি যদি ইউটিউবার বা ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কোন না কোন একদিন গুগল এডসেন্স এর জন্য এক প্রকার নিতে হবে। ব্লগারে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে হলে অনেকে ওখান থেকেই আর্নিং ট্যাব এ গিয়ে এডসেন্স এর অপ্রভাল নিতে যায়, কিন্তু ওয়ান থেকে অ্যাডসেন্সে রাখবেন না উচিত নয়। প্রথমে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এর উপর লেখার জন্য আপনাকে গুগল এডসেন্স লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ করে বল এডসেন্স এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং ওখানে নিজের ব্লগার ওয়েবসাইটটিকে সাবমিট করতে হবে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নেওয়ার জন্য। ডাইরেক্ট আর্নিং ট্যাব থেকে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিতে গেলে ওখানে একটি এরর দেখতে পাওয়া যায়, যেটা এড়াতে আপনাকে এডসেন্স এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে, এবং নিজের ওয়েবসাইটটিকে ওখানে সাবমিট করতে হবে। নিজের ওয়েবসাইটটিকে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল এর জন্য পাঠানোর পর আপনাকে একটি কোড দেওয়া হবে যেটা আপনাকে নিজের ব্লগার ওয়েবসাইটের ক্লোজিং হেড ট্যাগ এর আগে বসাতে হবে এবং সেভ করতে হবে। এটা করার পর আপনাকে নিয়মিত পোস্ট নিজের ব্লগারের পোস্ট করতে হবে, যার ফলে গুগলের মনে হবে যে আপনি সত্যি ব্লগারের কাজ করতে চান এবং ব্লগার এর সঙ্গে জুড়ে গুগলকে আরো ইম্প্রুভ করতে চান। এইসব পজিটিভিটি দেখলে গুগোল নিশ্চয় আপনার পোস্টটি কে রিং করাবে এবং আপনার অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাইয়ে দেবে।
সাইনআপ এর পুরো প্রক্রিয়া
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আসার পরে আপনাকে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ওখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে নিজের ওয়েবসাইট সাবমিট করতে হবে এবং নিজের পার্সোনাল ডিটেলস গুলি সাবমিট করতে হবে। নিজের পার্সোনালিটি সাবমিট করার পরে আপনাকে আর একটি পেজ প্রোভাইড করা হবে যেখানে আরো আপনার এড্রেস এবং কয়েকটি জিনিস পূরণ করতে হবে। হুগলি করার পরে আপনাকে একটি কোড দেয়া হবে, যেই কোডটা আপনাকে ক্লোজিং হেড ট্যাগ এর আগে বসাতে হবে। এটি করার পরেই গুগোল আপনার সাইটটিকে রিভিউ করবে এবং আপনাকে বলবে যে আপনার সাইটটি এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই নাকি আরো কিছু দরকার আপনার সাইটটির, গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য। অনেকেরই অনেক রকমের আর চলে আসে যেমন লো কনটেন্ট এরর, আরও অনেক রকমের আর চলে আসে যেগুলি আপনার জন্যই আসে। এগুলি এড়াতে আপনাকে অপরের দেওয়া এডভাইস গুলো ফলো করতে হবে। ওগুলি কল করলে আপনার অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল আপনি পেয়ে যেতে পারেন। আর আপনাকে কয়েকটি জিনিস পড়ে নিতে হবে সেগুলি হল ব্লগারের শর্তাদি এবং এডসেন্সের শর্তাদি, যেগুলি পড়ার পরে আপনি বুঝতে পারবেন যে কি করলে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটটি সহজেই এপ্রোভাল পেয়ে যাবে।
অ্যাপ্রভাল না পাওয়ার কারণ
অ্যাপ্রভাল না পাওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। আপনার সাইট যদি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য রেডি না থাকে এবং আপনি তাকে রিভিউ তে পাঠিয়ে দেন তাহলে এডসেন্স কয়েকদিন পরে আপনার ইমেইলে একটি মেইল পাঠাবে কোন একটি এরর দিয়ে। যেইসব এরর আপনার কারণেই তৈরি হয় এবং আপনার জন্যই আপনি নিজের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট হারিয়ে ফেলেন এবং আপনার অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল আর নেওয়া হয় না। একবার এরর এসে যাওয়ার পরে এটির আসা ভুলে যাওয়া উচিত যে ওই একই ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাপ্রভাল হয়ে যাবে। কারণ এরর এসে যাওয়ার পরে সেই এররটিকে সল্ভ করতেই অনেকে পারেনা। এবং কিছুদিনের মধ্যে আবার তাকে রিভিউতে পাঠিয়ে দেয়। যেটা হলো সবথেকে বড় ভুল। আপনি কি অন্তত এরর আসার একমাস পরে আবার ওটাকে রিভিউতে পাঠাতে হবে। ওই এক দু মাসের মধ্যে আপনাকে আপনার ভুলগুলোকে সংশোধন করতে হবে এবং আপনার ব্লগার সাইটটিকে আপ্রভাল এর জন্য রেডি করতে হবে। এগুলি হলো কিছু সহজ উপায় যা দ্বারা আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে রাখ তাড়াতাড়ি খেতে পারেন এবং যদি আপনার কোন এরর এসে থাকে তাহলে সেগুলো কিভাবে solve করতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
We need your suggestion but do not post any spam links on comment.